আজ ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভৈরবে হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে পালালেন স্ত্রী

এম.আর রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধি: 

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পারিবারিক বিরোধের জেরে স্বপন মিয়া (২৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। বিষপানে অসুস্থ স্বপন মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মৃত্যুর কথা শুনে ওই নিহত ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতালে রেখেই স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ভৈরব থানা পুলিশ স্বপন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
স্বপন উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের এমাদ মিয়ার পুত্র। নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করার সুবাদে দীর্ঘ ৮বছর ধরে পাশ্ববর্তী মঞ্জুনগর গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলেন।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, স্বপন ৭/৮ বছর আগে পাশ্ববর্তী মঞ্জুর নগর গ্রামের হাদি মিয়ার কন্যা সুইটি বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে কলহ ও মতবিরোধ হয়। মত বিরোধের জেরে স্বামী নিজ ঘরে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্ত্রী ও শ্বশুড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুর খবর শোনে স্ত্রী ও শ্বশুর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মনে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই ওসমান গনি বলেন, স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মৃত্যুর কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে স্বপনের মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। এ মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে কোনো রহস্য আছে কিনা তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করে কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...